জাহিদ হাসান চৌধুরী; ফেনী জেলা প্রতিনিধি:
ফেনী সরকারি কলেজের চার শিক্ষককে শাস্তিমূলক বদলির আদেশ বাতিল দাবীতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুরে কলেজ আঙ্গিনায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। একপর্যায়ে উপাধ্যক্ষ সহ শিক্ষকরা তালা খুলে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাধারন শিক্ষার্থীরা এসময় তারা শিক্ষকদের হয়রানীমূলক বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে নানা শ্লোগান দেন। মিছিলটি প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। ৪ শিক্ষককে পুনর্বহাল করা না হলে শ্রেণিকার্যক্রম বয়কট সহ আন্দোলনের ঘোষনা দেন। মিছিলকারিরা প্রশাসনিক ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ভবনের পরীক্ষার্থীরা জড়ো হলে উপাধ্যক্ষ সহ শিক্ষক-কর্মচারীরা তালা খুলে দেয়।
দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জান্নাত আক্তার মিম বলেন, “কোন ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়াই আমরা শুনতে পাই আমাদের বিভাগীয় প্রধান হানিফ স্যার সহ ৪ জন স্যারকে বদলি করা হয়েছে। স্যারেরা এ বিষয় জানতেন না। এটা একটা ষড়যন্ত্র বলে আমরা জানতে পারলাম। আমাদের এমনিতেই টিচার সংকট। বিভাগীয় প্রধান নেই। এরমধ্যে হঠাৎ বদলি করাটা আমরা মেনে নিবো না। আমরা চাই আমাদের স্যার যেন আমাদের বিভাগেই থাকে।”
ইমন দাস বলেন, “আমরা দেখেছি শাস্তিমূলক হিসেবে আমাদের ৪ জন স্যারকে কোনরকম না জানিয়ে বদলি করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা চাই আমাদের স্যারদের বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা হোক।
জান্নাতুল নাইম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “কোন রকম আগাম বার্তা ছাড়াই আমাদের স্যারদের বলদি করা হয়েছে। আমরা চাই স্যারদের বদলী আদেশ প্রত্যাহার করে ফেনী কলেজে রাখা হোক।
কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আইউব তালা দেয়ার কিছু সময় পর খোলা হয়েছে জানিয়ে বলেন, অধ্যক্ষ চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন। বিষয়টি উনাকে অবগত করা হবে।
প্রসঙ্গত: গত মঙ্গলবার হঠাৎ করে শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ৪ শিক্ষককে শাস্তিমূলক বদলীর আদেশ হয়। এদের মধ্যে দর্শনের সহকারী অধ্যাপক হানিফ মিয়াকে সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ, উদ্ভিদ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক আহমদ আলীকে কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, অর্থনীতির প্রভাষক ইশতিয়াক উদ্দিনকে মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রভাষক মনজুরুল হাসানকে পটুয়াখালীর বাউফল সরকারি কলেজে বদলী করা হয়। এনিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।